+971(0) 5271 300 12 info@firozbdweb

Click signup and earn money ! انقر الاشتراك وكسب المال

Monday, January 14

আপনি কি জানেন, ফেসবুক আপনাকে প্রতিনিয়ত বিক্রি করছে!

04:36

Share it Please


এমন একটা সময় ছিল যখন সফটওয়্যার বলে একটা বস্তু পাওয়া যেত। প্লাস্টিক মোড়ানো বাক্সে একে দোকানে দোকানে বিক্রয় করা হোতো। যখন আপনার কোন সফটওয়্যার কিনতে ইচ্ছা হতো তখন আপনি দোকানের তাক থেকে নিয়ে পয়সা অথবা ক্রেডিট কার্ডের বিনিময়ে কিনে ফেলতেন।
সেদিন আর নেই, এখন এসেছে অ্যাপ্লিকেশন - নানা ডিজাইনে, ঢঙ্গে, লাখো লাখো সফটওয়্যার যারা বাস করে অনলাইনে অথবা আপনার স্মার্টফোনে। এ ধরনের "অ্যাপ" কেনার জন্য আপনাকে শুধু একটা বাটনে ক্লিক করলেই হয়। অনেক সময় হয়তো দাম দিতে হয় কিন্তু বেশির ভাগ অ্যাপ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো বিনামূল্য বলে মনে হলেও অ্যাপ ডেভেলপারেরা অন্য উপায়ে এর মূল্যটি ঠিকই এর ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তুলে নেয়। অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আপনি "দুয়ার" বলতে পারেন, আর যখন আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড বা কিনে নেন তখন মনে রাখবেন এর জন্য আপনাকে দিতে হবে আজকের অর্থনীতিতে সবচেয়ে ঈপ্সিত জিনিসটিকে: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য।
ফেসবুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন, সে গেম, কুইজ, বা অন্যকোন কিছু, যেগুলো ফেসবুককে করে তুলেছে জনপ্রিয়- এর প্রত্যেকটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ফেসবুকের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় ১০০টি অ্যাপের উপর গবেষণা চালিয়ে জানতে পেরেছে এ ধরণের অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ইমেইল অ্যাড্রেস, বর্তমান ঠিকানা, ইত্যাদি ছাড়াও তার যৌন পছন্দ এবং ফেসবুক বন্ধুদের তথ্য জানতে চেয়েছে। ফেসবুকদ্বারা পরিচালিত ইয়াহুর একটি পরিসেবা গ্রহণের শর্ত হিসেবে ব্যবহারকারীকে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রকাশ করতে হয়। অনলাইন ফোন কলের জন্য বিখ্যাত স্কাইপ ফেসবুক ফটো এবং ব্যবহারকারীর বন্ধুদের জন্মদিন এর তথ্য সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে।
অবশ্য ইয়াহু এবং স্কাইপ জানিয়েছে এই তথ্য তারা আরও ভালো পরিসেবা দেবার জন্য নিয়ে থাকেন এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে তারা দৃঢ় প্রতীজ্ঞ।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের এই যে ক্ষুধা তা ফেসবুক এবং ইন্টারনেট অর্থনীতি সম্পর্কে মৌলিক একটি সত্য তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে : ফেসবুকের মূল্যহীন সেবাটি ব্যবহারকারীরা গ্রহণ করছেন তাদের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য, বন্ধুত্ব, পছন্দ এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেবার মধ্যে দিয়ে। আর ফেসবুক এই তথ্য ভাণ্ডারটি ব্যবহার করছে বিজ্ঞাপনদাতা, অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীক সম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করার জন্য।
আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগেও, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের এত সহজ এবং ব্যবহারযোগ্য ভাণ্ডারের কথা চিন্তাই করা যেত না। বর্তমানে তথ্য বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার প্রধান কারণই হচ্ছে বর্তমান সময়ে মানুষ এমন সব ডিভাইস ব্যবহার করছে যেগুলো প্রতিমুহূর্তে তথ্য আদান-প্রদান করছে। আর সেই তথ্য যে কেউ যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারে।

আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি প্রতিনিয়ত বিক্রি করে দিচ্ছে ফেসবুক
ব্যক্তিগত তথ্যকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করাটা যে লাভজনক উদ্যোগ তার প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি ফেসবুককে। অল্প কিছুদিন হল গড়ে উঠা একটি প্রতিষ্ঠান, শেয়ার বাজারের মাধ্যমে যার বাজার মূল্য ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
যদিও ফেসবুক তার নিয়মাবলীতে উল্লেখ করেছে কোন অ্যাপ্লিকেশন যদি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য গ্রহণ করতে চায় তাহলে তাকে এর জন্য অনুমতি চাইতে হবে। কিন্তু, সেই অ্যাপ যদি ব্যবহারকারীর বন্ধুর তথ্য যখন সংগ্রহ করছে তখন কিন্তু কোন অনুমতি গ্রহণ করছে না বা সেই বন্ধুকে জানতেও দিচ্ছে না যে সেই তথ্য নিচ্ছে। এ ব্যাপারে বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন পরীক্ষা করা পর দেখা গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার ব্যাপারে ফেসবুক তার নিজস্ব অনেক নিয়ম নিজেই মানছে না।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কর্তৃক আবিষ্কৃত ফেসবুকের কিছু নীতি:
মাইপ্যাড নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যার প্রাইভেসি পলিসি মাত্র দুটি অনুচ্ছেদ যেখানে লেখা রয়েছে, “প্রাইভেসি পলিসি সেটিংস খুব শীঘ্রই আসছে। “মন্তব্যের জন্য অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে ওয়াল স্ট্রিট।
কমপক্ষে এক ডজন অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলো ইন-অ্যাপ্লিকেশনের মাঝে বিজ্ঞাপন দেবার অনুমতি না পাওয়া স্বত্বেও দিয়ে যাচ্ছে। আর এই অ্যাপ ব্যবহার করেই গুগলের মত বিজ্ঞাপন প্রদানকারী সংস্থা ব্যবহারকারীদেরকে ট্র্যাক করছে। এ সম্পর্কে গুগল জানিয়েছে অনলাইন বিজ্ঞাপন দেয়ার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা অ্যাপ নির্মাতা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।
“বিটউইন ইউ অ্যান্ড মি” এবং ট্রুথ অ্যাবাউট ইউ” এর মত জনপ্রিয় বুদ্ধিমত্তা গেম অ্যাপ্লিকেশনগুলো অনেক ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য গ্রহণ করে যার মধ্যে ব্যবহারকারী এবং তার বন্ধুদের যৌন পছন্দও রয়েছে – যা অ্যাপের মাঝে কোথায় ব্যবহার করা হয় না।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতির মাধ্যমে ফেসবুকে মুখপাত্র জানিয়েছে, “অ্যাপ ডেভেলপারেরা তাদের নীতিগুলো মানবে বলে স্বীকৃতি প্রদান করে থাকে। এর অন্যথা ঘটলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, অভ্যন্তরীণ নীতি দল অথবা ব্যবহারকারী যদি অনুযোগ করে তাহলে আমরা এদের বিরুদ্ধে সংগে সংগে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
ফেসবুককে যে মানুষের হাড়ির খবর জানবে সে বিষয়ে বিস্মিত হবার কোন কারণ নেই। এটা একটা সামাজিক যোগাযোগের সাইট, এখানে মানুষ নিজে থেকেই তাদের নাম, বন্ধু, ছবি, যৌন পছন্দ (ইন্টারেস্টেড ইন মেন, ইন্টারেস্টেড ইন ওমেন), কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা সহ আরো হাজারো তথ্য। এর সাথে রয়েছে স্ট্যাটাস আপডেটের সাহায্যে আপনার প্রতিটি মুহূর্তকে ধরে রাখার ক্ষমতা।
আর এ ধরণের তথ্যগুলো ব্যক্তিগত-তথ্য অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্বর্ণভান্ডার হিসেবে পরিচিত। ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্যগুলো ব্যবহার করে তার জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে যে ২৮ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে তা দিয়েই মূলত ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন শিল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।
২০১১ সালে ডাউনলোড, বিজ্ঞাপন, ভার্চুয়াল পণ্য এবং আরও নানা রকম পণ্য বিক্রয় করে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজার গবেষণা মূলক প্রতিষ্ঠান রুবিনসন পার্টনার্স।
আর ৮০০ মিলিয়নের বেশি সদস্য বেষ্টিত ফেসবুক এই ব্যক্তিগত তথ্য ভাণ্ডারের মধ্যমণী রূপে অবস্থান করছে। এখানে পোস্ট করা একটা অ্যাপ হয়ে উঠতে পারে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান পেতে পারে অথবা ডুবে যেতে পারে সাগরের অতলে। আর এ কারণে অ্যাপগুলো যত দ্রুত সম্ভব ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত হয়ে পরে যেন সেগুলো ব্যবহার করে অন্য কোন উপায়ে তারা আয় করতে সামর্থ্য হয়।

ফেসবুকের অ্যাপগুলো কি পরিমাণে আপনার তথ্য চুরি করছে
ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন “আইন্ডেটিফায়েড” এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রেনড্যান ওয়ালেস জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান সংগৃহীত তথ্যগুলো সংরক্ষণ করছে কিন্তু পরবর্তীতে কি কাজে সেগুলো ব্যবহার করা হবে সে ব্যাপারে এখনো তাদের কোন ধারণা নেই। অ্যাপটি ব্যবহার করে তারা ব্যবহারকারীর জন্মদিন, শহর, শিক্ষা এবং কাজের ইতিহাস সহ বন্ধুদের নানা তথ্য সংগ্রহ করছে।
তথ্য সংগ্রহের এই অনবরত প্রচেষ্টা অস্বস্তির জন্ম দিয়েছে বেশ কিছু ব্যবহারকারীর মাঝে। অনেকেই তাদের স্মার্টফোন থেকে অ্যাপ্লিকেশন মুছে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
গোপনীয়তা সংক্রান্ত পরিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রাইভেসিচয়েস জানিয়েছে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন নীতিকে অবজ্ঞা করে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করার সুবিধাও প্রদান করে থাকে।

অন্যের তথ্য জনসম্মুখে দিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে নিজের ছবিই হ্যাক হয়ে গিয়েছিল।
ফেসবুকের তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবার পূর্বে অ্যাপগুলোকে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এই অনুমতিগুলো তারা সংগ্রহ করে মানব চরিত্রে থাকা মৌলিক প্রবৃত্তি নির্ভর করে – বিশেষ করে, যে কোন সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করার প্রবণতাকে নির্ভর করে। বিজ্ঞান এর নাম দিয়েছে “চরিত্রগত”। ব্যাপারটি তখনই ঘটে যখন মানুষ “ইয়েস” চাপ দিতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। যে কোন সতর্কতা বা সতর্কবার্তা তাদের সম্মুখে আসলে তারা কোন কিছু খেয়াল না করেই “ইয়েস” বাটনে চাপ দিয়ে দেন।
এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে চরিত্রগত ভাবে মানুষ অনুমোদনের বিশাল তালিকা বুঝতে অক্ষম, বিশেষ করে সেটা যদি হয় প্রযুক্তিগত কোন বিষয় নিয়ে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, কি অনুমোদন করছেন সেটা বুঝতে পারলেও ভবিষ্যতে যে সেই তথ্য যে অন্য কোনভাবে ব্যবহার করা সম্ভব সে ব্যাপারে তাদের ধারণা না থাকা।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ প্রাইভেসি বিল অভ রাইট তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মাঝে ব্যক্তিগত তথ্য নীতি দেয়া হবে। কোন তথ্য কি কাজে ব্যবহৃত হবে সে ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য দেবার এবং এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার প্রদানের কথা বলা হয়েছে এই নীতি। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গোপনীয়তা রক্ষার্থে এ ধরণের কোন আইন নেয়।
এত কিছু স্বত্বেও ফেসবুকের গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতিটি কিন্তু সবচেয়ে উন্নতমানের। যত ধরণের তথ্য হতে পারে তার বিষদ তালিকা তারা তৈরি করেছে এবং ব্যবহারকারী ইচ্ছা করলে যে কোনটার জন্য যে কোন ফেসবুক অ্যাপকে অনুমোদন নাও দিতে পারে। কিন্তু স্মার্টফোনের অ্যাপগুলো এদিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এবং তারা ব্যবহারকারীকে তথ্য নিয়ন্ত্রণ অথবা কি জন্য ব্যবহার করছে সে ব্যাপারে কোন সুবিধাই প্রদান করে না।
২০১০ সাল থেকে ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত ডিসক্লোজার নোটিশ ব্যবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। একজন ব্যবহারকারী যখন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে চাইবে তখন অ্যাপটি কি ধরণের তথ্য গ্রহণ করবে তা পপ-আপ স্ক্রিনের সাহায্য নিয়ে তালিকাবদ্ধভাবে দেখাবে।
কিন্তু এত কিছুর পরেও তথ্যগুলো কে কিভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীর কোন ধারণাই থাকে না। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিনামূল্যে পাওয়া অ্যাপগুলো কি ধরণের তথ্য সংগ্রহ করছে সে সম্পর্কে অর্ধেকের বেশি মানুষেরই কোন ধারণা নেই। এছাড়া, অ্যাপে প্রদত্ত গোপন তথ্যগুলো যে ফেসবুকের বাইরে অন্য কোন স্থানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে সে ব্যাপারে কোন ধারণাই নাই এমন লোকের সংখ্যা প্রায় ৪০%।
তবে আশার কথা এই যে, অনেক অ্যাপ ডেভেলপার জানিয়েছেন তারা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য এর চাইতে বেশি তথ্য তারা যদি সংগ্রহ করতে চান তাহলে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করবে যা দীর্ঘ সূত্রতায় তাদের ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।
তবে ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত তথ্য যত কম দেয়া যায় তত ভালো বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

0 comments:

Post a Comment

Blog Archive

Followers

PaidVerts