পবিত্র মক্কা নগরীতে বসানো হয়েছে অভূতপূর্ব এক ঘড়ি।
এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি। এমনকি লন্ডনের বিগবেনের চেয়েও ৫ গুণ বড়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের নতুন একটি সময় উপহার দেয়ার জন্য মক্কার সর্বোচ্চ ভবন আবরাজ আল-বাইত কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে এটি। আর তা দেখা যাবে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও।পবিত্র হেরাম শরীফের ৪০০ মিটার উপরে চতুর্মুখী ওই ঘড়িটির প্রতি পাশে আড়াআড়িভাবে ৪৬ মিটারে (১৫১ ফিট) আধুনিক প্রযুক্তির উজ্জ্বল টাইলস বসানো হয়েছে। লন্ডনের বিখ্যাত বিগবেন ঘড়ির ব্যাসের চেয়ে এ ঘড়িটির ব্যাস ছয়গুণ বড়। এর সামনে আরবি হরফে লেখা আছে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’, এর নিচে স্থাপন করা হচ্ছে ২০ লাখ উজ্জ্বল আলোর বাতি।
ঘড়িটির উপরের দিকে স্থাপন করা হয়েছে ২১০০০ সাদা ও সবুজ রঙের বাতি। প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজের সময় সঙ্কেত দিতে এটি জ্বালানো হলে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে তা দেখা যাবে। মুসলমানদের বিশেষ দিনগুলোতে লম্বালম্বিভাবে স্থাপিত ১৬টি লাইট আকাশের দিকে ১০ কিলোমিটার উঁচুতে আলো নিক্ষেপ করবে।

ঘড়িটির উপরের দিকে স্থাপন করা হয়েছে ২১০০০ সাদা ও সবুজ রঙের বাতি। প্রতিদিন পাঁচ বার নামাজের সময় সঙ্কেত দিতে এটি জ্বালানো হলে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে তা দেখা যাবে। মুসলমানদের বিশেষ দিনগুলোতে লম্বালম্বিভাবে স্থাপিত ১৬টি লাইট আকাশের দিকে ১০ কিলোমিটার উঁচুতে আলো নিক্ষেপ করবে।
আলো ঝলমল হাতিরঝিলের পর্দা উঠল .
রাজধানীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি নগরবাসীর জন্য একটি বিনোদনের স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে সোনারগাঁও থেকে রামপুরা পর্যন্ত ৩০২ একর জমির উপর বিস্তৃত এই প্রকল্পটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে যখন এ প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন, চারপশাশে তখন শীতের সকালের ঝলমলে রোদ। এর আগে গাড়িতে করে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
রাজধানীর পুর্ থেকে পশ্চিমের যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়, যা বাস্তবায়নে ৯৩ শতাংশ অর্থের জোগান দেয় সরকার।
সমন্বিত এ প্রকল্পের প্রাণ হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি খাল, যার দুই পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৬ কিলোমিটার সড়ক, চারটি সেতু, আরো চারটি ক্ষুদ্র সেতু (ভায়াডাক্ট) এবং চলাচলের জন্য চারটি ওভারপাস।
বিনোদনের জন্য খালে রয়েছে নৌকা চালানোর ব্যবস্থা, ছোট পরিসরে পিকনিক স্পটসহ বেশকিছু সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে প্রথমে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তিনি গাড়িতে করে খালের ওপর নির্মিত সেতু ও সড়ক দিয়ে ঘুরে ঘুরে অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় দুই তরুণী ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর তিনি মঞ্চে এলে দর্শকসারি থেকে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
প্রকল্প এলাকা চলাচলের জন্য খুলে দেয়া উপলক্ষে ঝিল ও খালের দ্ইু পাড় ও সড়কগুলো সাজানো হয় ফুলের টব ও নানা রঙের পতাকা দিয়ে। একটি স্থানে ঢোল বাজাতে দেখা যায় একদল বাদককে। হাতির ঝিল নাম বলে কয়েকটি হাতিও আনা হয় খালপাড়েরর সড়কে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে গুলশান লিংক রোডসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে এই প্রকল্পকে পুরোপুরি তৈরি করতে আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে, যা শিগগিরই করা হবে।
প্রকল্পটি চালু হলে ঢাকার পূর্ব অংশের রামপুরা, বাড্ডা থেকে সহজেই শহরের কেন্দ্রস্থল কারওয়ান বাজারে পৌঁছানো যাবে বলে জানান রায়হানুল ফেরদৌস।
গাড়িতে এ এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য এফডিসির পাশের মোড়ে, মগবাজার রেল ক্রসিং ও রামপুরা সেতুর কাছে তিনটি পথ রয়েছে। এ প্রকল্প উন্মুক্ত হওয়ায় যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছেন সগক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।
২০০৭ সালে হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর, যা ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ একনেক বৈঠক।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ঢাকা ওয়াসা এবং এলজিইডি যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পে পরামর্শকের দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিহাস বলে, ঢাকার পিলখানা (হাতির আবাস) থেকে বেগুনবাড়ি এলাকার ঝিলে যাওয়ার জন্য হাতিরা যেসব সড়ক ব্যবহার করতো, পরবর্তীতে সেসব এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাতি নামটি। ওই ঝিলটিও পরিচিত হয়ে ওঠে হাতিরঝিল নামে।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক গ্রুপের দলনেতা স্থপতি ইকবাল হাবিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ব্রিটিশ রাজার ধারাবাহিকতায় ভাওয়ালের রাজাদের পোষা হাতি রাখা হতো পিলখানায়। সে সময় গোসল করার জন্য এসব হাতি ঝিলে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতো এখনকার এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল এলাকা।
হাতিদের আনাগোনার কারণেই এলাকার নামের সঙ্গে হাতি শব্দটি যুক্ত হয়ে গেছে। ঝিলের নামকরণের পেছনেও কারণ অভিন্ন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস

ইসরায়েলের
বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যানোনিমাস
ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের ওপর সিরিজ
সাইবার আক্রমণ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক
হ্যাকার সংগঠন অ্যানোনিমাস।
অ্যানোনিমাসের সাইবার আক্রমণে বন্ধ
হয়ে গিয়েছে একাধিক
ইসরায়েলি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য
ওয়েবসাইটগুলোর হোম
পেইজে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনকে সমর্থন
জানিয়ে লেখা মেসেজ। খবর বিবিসির।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার উত্তরে দেশটির
বিরুদ্ধে লড়াই ঘেষণা করেছে হ্যকারদের
সংগঠনটি। অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, ইসরায়েল
গাজাড টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ
করে দেবার হুমকি দিলে ‘অপইসরায়েল
ক্যাম্পেইন’ অভিযান শুরু করে তারা।
আরোনরিলেশনস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক
বিবৃতি অ্যানোনিমাসের পক্ষ
থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অ্যানোনিমাস
এবং আমাদের চোখের সামনে কেউ ইন্টারনেট
বন্ধ করে দিতে পারবে না।’
ওই বিবৃতিতে ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ
বন্ধ না করলে এবং টেলিকমিউনিশেন
ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে ফলাফল
ভালো হবে না বলে হুশিয়ার করে দেয়
অ্যানোনিমাস। অন্যথায় ইসরায়েল
অ্যানোনিমাস সদস্যদের রোষের
মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।
ওই বিবৃতিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই
অ্যানোনিমাস ৮৭টি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের
নাম প্রকাশ করে। এর
মধ্যে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের হোম পেইজ
পাল্টে সেখানে ফিলিস্তিন এবং হামাসের
প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ পোস্ট
করে অ্যানোনিমাস হ্যাকাররা।
একই সময়ে গাজার টেলিকমিউনিকেশন
ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট অচল
হয়ে পড়লে যোগাযোগের জন্য একাধিক বিকল্প
মাধ্যমও বাতলে দিয়েছে অ্যানোনিমাস।
হয়ে গিয়েছে একাধিক
ইসরায়েলি ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য
ওয়েবসাইটগুলোর হোম
পেইজে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিনকে সমর্থন
জানিয়ে লেখা মেসেজ। খবর বিবিসির।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার উত্তরে দেশটির
বিরুদ্ধে লড়াই ঘেষণা করেছে হ্যকারদের
সংগঠনটি। অ্যানোনিমাস জানিয়েছে, ইসরায়েল
গাজাড টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ
করে দেবার হুমকি দিলে ‘অপইসরায়েল
ক্যাম্পেইন’ অভিযান শুরু করে তারা।
আরোনরিলেশনস ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক
বিবৃতি অ্যানোনিমাসের পক্ষ
থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা অ্যানোনিমাস
এবং আমাদের চোখের সামনে কেউ ইন্টারনেট
বন্ধ করে দিতে পারবে না।’
ওই বিবৃতিতে ইসরায়েল গাজার ওপর আক্রমণ
বন্ধ না করলে এবং টেলিকমিউনিশেন
ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে ফলাফল
ভালো হবে না বলে হুশিয়ার করে দেয়
অ্যানোনিমাস। অন্যথায় ইসরায়েল
অ্যানোনিমাস সদস্যদের রোষের
মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে তারা।
ওই বিবৃতিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই
অ্যানোনিমাস ৮৭টি ইসরায়েলি ওয়েবসাইটের
নাম প্রকাশ করে। এর
মধ্যে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের হোম পেইজ
পাল্টে সেখানে ফিলিস্তিন এবং হামাসের
প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখা মেসেজ পোস্ট
করে অ্যানোনিমাস হ্যাকাররা।
একই সময়ে গাজার টেলিকমিউনিকেশন
ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট অচল
হয়ে পড়লে যোগাযোগের জন্য একাধিক বিকল্প
মাধ্যমও বাতলে দিয়েছে অ্যানোনিমাস।
0 comments:
Post a Comment