+971(0) 5271 300 12 info@firozbdweb

Click signup and earn money ! انقر الاشتراك وكسب المال

Thursday, September 20

সতর্ক হোন ফেসবুক ব্যবহারে .......♀

01:40

Share it Please
ফেসবুকের ভালো, সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ দিক যেমন রয়েছে, তেমনি বিপত্তিও কম নয়। মাঝেমাঝেই দেখা যায়, আপনার কোনো বন্ধু জানাচ্ছেন, অমুক নায়িকার তমুক ভিডিও দেখা যাচ্ছে এই লিংকে। কখনো থাকছে ওজন কমানোর টিপস। এসব আসলে ফাঁদ।

সোর্স সম্পর্কে নিশ্চিত হন:
মাঝে মাঝেই দেখা যায় কোনো একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সন্দেহজনক লিংক শেয়ার হচ্ছে। এ ধরনের লিংকে যিনি ক্লিক করবেন, তার কম্পিউটারেও মেলওয়্যার ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তিনিও একইভাবে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অজান্তে সেই লিংক শেয়ার করতে পারেন।
সামান্য একটু সতর্ক হলেই এই বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে লিংকটি যিনি শেয়ার করেছেন এবং কি ধরনের লিংক শেয়ার করছেন সেদিকে একটু মনোযোগী হলেই এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি দেখেন আপনার কোনো বন্ধু ‘সেক্স টেপ’ নামক কিছু শেয়ার করছে, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন লিংকটি ভুয়া এবং স্প্যামাররা আপনাকে বিপদে ফেলতেই এরকম লিংক ছড়াচ্ছে।
এক্ষেত্রে সেই লিংকে ক্লিক না করে, যেই ব্যক্তির টাইমলাইন থেকে লিংকটি আসছে, তাঁকে অফলাইনে ফোন করাই ভালো। তাকে ফেসবুকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে হলেও বলা যেতে পারে, আপনি যে লিংকটি শেয়ার করছেন, সেটি কি জেনেশুনে নাকি অজান্তেই?
ফেসবুক হ্যাক হওয়ার খবরও গুজব:
ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই হঠাৎ করে যদি কেউ দাবি করে ফেসবুক হ্যাক হয়েছে সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তবে এটা সত্যি, ফেসবুক প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সেটিংসে পরিবর্তন আনে। আর এই পরিবর্তনের খবর তারা উপযুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জানিয়েও দেয়। ফলে হঠাৎ করে কেউ যদি দাবি করে বসে, ফেসবুকের রং নীল থেকে লাল হয়ে যাচ্ছে কিংবা এই লিংকে ক্লিক করে ফেসবুকের রং সাদা কালো করা যায়, সেসব দাবি বিশ্বাস না করাই ভালো। আর বিশ্বাস করে সেসবে ক্লিক করলে দেখবেন, আপনাকে দিয়ে বিভিন্ন সার্ভে করানো হচ্ছে। এসব সার্ভের মাধ্যমে পয়সা আয় করে স্ক্যামাররা। আপনি পাবেন না কিছুই।

ভিডিও দেখলেই ক্লিক করবেন না:

অনেক স্ক্যামার লোভনীয় ভিডিও-র কথা বলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এসব ফাঁদে ক্লিক করলে আপনাকে ‘ফ্ল্যাশ প্লেয়ার’ বা ‘জাভাস্ক্রিপ্ট’ ডাউনলোড করতে বলা হবে। একবার ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করেছেন মানে ফাঁদে পড়েছেন। স্ক্যামাররা এভাবে ফাঁদ বসিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরি এবং একইসঙ্গে আপনার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ফেসবুকে কোনো ভিডিও লিংক দেখলে প্রথমেই সেটির ডোমেইন নেম-এর দিকে তাকান। ইউটিউব ডটকম যদি ডোমেইন নেমে লেখা থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন লিংকটি নিরাপদ। কিন্তু অন্য কিছু থাকলে এবং সেটা যদি অপরিচিত হয়, তাহলে ক্লিক না করাই ভালো। এসব ভিডিও লিংকের সঙ্গে অনেক সময় একই ধরনের লোভনীয় বার্তা জুড়ে দেওয়া হয়। অনেকটা, ‘ও মাই গড, তুমি কি এই ভিডিওটি দেখেছে? আমি ভাবতেই পারছি না কেউ একজন এসব ক্যামেরায় ধারণ করতে পারে! ধরনের বার্তা৷ এগুলো স্প্যাম।

যদি আক্রান্ত হন তাহলে কি করবেন?

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আসতে পারে। স্ক্যাম লিংকে ক্লিক করার পর যদি টের পান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই নীচে উল্লেখিত পন্থা অনুকরণ করুন:
টাইমলাইনে গিয়ে দ্রুত লিংকটি ডিলিট করুন।
  • ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে থাকা আপনার প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।
  • বিশেষ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ই-মেলের পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলান।
  • ফেসবুক বন্ধুদের জানান যে, আপনি ভুল করে একটি স্ক্যাম শেয়ার করেছেন।
♂☺☺☺এসব উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও নিরাপদ থাকতে মাঝে মাঝে ফেসবুকের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’ এবং ‘একটিভ সেশন’ অপশন চেক করুন। কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে ভালোভাবে যাচাই করুন।


সূত্র: ডিডাব্লিউ

0 comments:

Post a Comment

Followers

PaidVerts